উল্লেখ্য, মানবাধিকার সংগঠন সোচ্চার বাংলাদেশে ক্যাম্পাস টর্চার ভিক্টিমদের নিয়ে কাজ করছে বিগত দুই বছর ধরে। টর্চার সার্ভাইভারদের নিয়ে কাজ করতে সোচ্চারের উপলব্ধি হচ্ছে ক্যাম্পাসে গণরুম, গেস্টরুম, বা টর্চার সেলে নির্যাতিত এ ভিক্টিমদের শারীরিক ক্ষত সময়ের সাথে মিটে গেলেও একটা মারাত্মক মানসিক ক্ষত তারা বয়ে বেড়ায় দীর্ঘ সময় ধরে। ভিক্টিমদের এ ট্রমা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে সোচ্চারের এই ট্রমা ম্যানেজমেন্ট এন্ড সাপোর্ট বিভাগ।
এ ছাড়া সোচ্চার টর্চার ভিক্টিমদের তৎক্ষণাৎ সহায়তা নিয়ে “সাইকোলোজিক্যাল ফার্স্ট-এইড” সহায়তা দিবে। ক্যাম্পাসগুলোতে সোচ্চার অ্যাফিলিয়েটেড স্টুডেন্ট ক্লাব সোচ্চার স্টুডেন্টস ক্লাবের সাথে সংযুক্ত অ্যাক্টিভিস্টদের ওয়ার্কশপের মাধ্যমে তৈরি করা ফার্স্ট-এইড হিসেবে সহায়তার জন্য।
ড. নূসরাত রহমান তার মানসিক স্বাস্থ্য গবেষণায় ট্রমা ম্যানেজমেন্ট, আত্মহত্যা প্রতিরোধ, ও মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় বৈষম্য নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করেছেন স্ট্যানফোর্ড মুসলিম মেন্টাল হেলথ এন্ড ইসলামিক সাইকোলোজি ল্যাব, বেন্টলি হেলথ থট লিডারশিপ নেটওয়ার্ক, ইউএস এফডিএ, মেরিল্যান্ড সাইকিয়াট্রিক রিসার্চ সেন্টার, এবং হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে। এই বিভাগের সহকারী ডিরেক্টর সুমাইয়া তাসনিম একজন ক্লিনিক্যাল সাইকোলোজিস্ট।
তিনি বিষণ্নতা, ও পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার নিয়ে কাজ করেন। সময়ের সাথে সাথে সোচ্চারের এই বিভাগে আরও ট্রমা এক্সপার্টরা যুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন সোচ্চারের প্রেসিডেন্ট ড. শিব্বির আহমদ।
এফএইচ