চলতি বছরের মার্চ মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজের লেখা ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ।’ বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কনসালটেন্ট মেজর (অব.) আহমেদ ফেরদৌসের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় সংগঠনটি। এতে ৩ দফা দাবি তুলে ধরে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন।
জানা যায়, রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। প্রতি মাসের নির্ধারিত সময়ে গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ পৌঁছে দেয়া হয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকে সারা দেশে শেখ হাসিনার নাম, ফলকসহ টাঙানো ছবিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসের বিলের কাগজে দেখা যায় শেখ হাসিনার স্লোগান। এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
তাদের দাবিগুলো হলো-
১.বিদ্যুৎ সেক্টরে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পদায়ন ও পুনর্বাসন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অন্যায়ভাবে বঞ্চিতদের যথাযথ মূল্যায়নকরা।
২. অবিলম্বে বিদ্যুৎ বিলসহ সব ধরনের গ্রাহক সেবার কাগজ থেকে ফ্যাসিস্টদের স্লোগান অপসারণ।
৩. যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী এই অনিয়মে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ।
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন সভাপতি নজরুল ইসলাম তুহিন, সদস্য সচিব ফারহান সরকার দিনারসহ সংগঠনটির আরও অনরকে।
সংগঠনটির সভাপতি নজরুল ইসলাম তুহিন জানান, সরকার পতনের আট মাস পর এটা কোনো অবস্থায় কাম্য নয়। এখানে যারা আছে তারা শেখ হাসিনার সমর্থক গোষ্ঠী হতে পারেন। অথবা দায়িত্বহীনতার কারণে প্রচারণা চালিয়েছেন। অচিরেই কর্তৃপক্ষের সংশোধন করা উচিত। এবং এ কাজে যারা জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সদস্য সচিব ফারহান বলেন, গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্টহাসিনা সরকারের পতনের পর আট মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সরকার পরিবর্তনের পরও বিদ্যুৎ বিলের মতো রাষ্ট্রীয়কাগজপত্রে পূর্বতন সরকারের প্রচারধর্মী স্লোগান থাকা একদিকে যেমন প্রশাসনিক উদাসীনতা ও অদক্ষতার প্রতিফলন, অপরদিকেআন্দোলনের স্টেকহোল্ডারদের সাথে বেইমানির সামিল।
এমএম