মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে কাতারের আমিরের দেয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাদের অভ্যর্থনা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
এদিকে তাদের বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত পুরো পথে অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর একটি সঙ্কটময় সময়ে স্বামী তারেক রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন ডা: জোবাইদা।
২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন জোবাইদা ও তাদের মেয়ে জাইমা রহমান। ১৭ বছরের মধ্যে এটাই জুবাইদার প্রথম বাংলাদেশে ফেরা। ১/১১-এর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি আইনি জটিলতার মুখোমুখি হন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। পরে জুবাইদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন ঢাকার একটি আদালত। ২০২৪ সালের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই সাজা ও জরিমানা স্থগিত করা হয়।
১৯৭২ সালের ১৮ মে সিলেটে জন্ম নেয়া জোবাইদা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাস করার পর বাবা-মায়ের আগ্রহে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৯৪ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জুবাইদা।
তিনি সর্বোচ্চ মেধার সাথে এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ১৯৯৫ সালে বিসিএসের মাধ্যমে সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। জুবাইদা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস-স্বাস্থ্য) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।
২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটিতে লন্ডনে যাওয়ার পর শেখ হাসিনার সরকার তাকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করে। লন্ডনে যাওয়ার পর জুবাইদা ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
জুবাইদার বাবা রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব:) মাহবুব আলী খান ১৯৭৮ সালের ৪ নভেম্বর থেকে ১৯৮৪ সালের ৬ আগস্ট পর্যন্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকারের অধীনে যোগাযোগ ও কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী ছিলেন জুবাইদা রহমানের চাচা।
এমএম