নোটিশে ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও ডা. তাসনিম জারাসহ অশ্লীলতা ছড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ডা. তাসনিম জারা।

এতে তিনি লিখেছেন, গত কয়েকদিন ধরে আমার ছবিসহ একটি আইনি নোটিশ গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, যেখানে একটি ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক অভিযোগ করা হয়েছে যে আমি ‘পর্নোগ্রাফিক সংস্কৃতি’ প্রচার করছি। এত ভিত্তিহীন কিছুর প্রতিবাদ করার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমি কথা বলতে চাই কারণ চুপ থাকলে মানুষ ভুল বুঝতে পারে।

তিনি আরও লেখেন, যখন আপনি পরিষ্কার হাত ও খোলা মন নিয়ে জনজীবনে প্রবেশ করেন, তখন আপনি মনে করেন যে সংগ্রাম হবে চিন্তা নিয়ে, নীতি নিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু তারা আপনার চিন্তার সঙ্গে সঙ্গে বিতর্ক করার আগেই আপনার নাম কলুষিত করার চেষ্টা করে। এটি একটি পুরোনো কৌশল, যা লজ্জা দেওয়া, মনোযোগ সরানো এবং বিকৃত করার জন্য নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি বিভ্রান্ত হব না এবং যে লজ্জা আমার নয়, তা বহনও করব না।

তাসনিম জারা লিখেছেন, বহু বছর ধরে আমি জনস্বাস্থ্য সেবায় কাজ করেছি, মানুষের সাহায্য করার জন্য প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে অতিরিক্ত সময় দিয়েছি। আমার নাম ব্যবহার করে ভুয়া পেজ এবং ভেজাল ওষুধ সম্পর্কে আমি বারবার জনসাধারণকে সতর্ক করেছি। যারা এখন সেই বাস্তবতাকে একটি শিরোনামে বিকৃত করার চেষ্টা করছে তারা একটি বিষয় ভুলে গেছে তবে মানুষ মনে রেখেছে।

‌‘তারা মনে রেখেছে কারা তাদের প্রয়োজনের সময় পাশে দাঁড়িয়েছিল। তারা সেই কণ্ঠস্বর মনে রেখেছে যা শান্তভাবে চরম অস্থিরতার মধ্যেও কথা বলেছিল। তারা মনে রেখেছে কারা ভাঙা সিস্টেমকে কাজে লাগানোর চেষ্টা না করে মেরামত করার চেষ্টা করেছিল। এবং রাজনীতিতে উচ্চবাচ্যের চেয়ে মনে রাখা বেশি শক্তিশালী।’

তাসনিম জারা লেখেন, আমি আরামের জন্য এখানে আসিনি। আমি জেনেই এসেছি যে এটি কঠিন হবে। জেনেই এসেছি যে এটি নোংরা হবে। কিন্তু আমি এই বিশ্বাস নিয়েও এসেছি যে আমরা ভিন্নভাবে - সততার সাথে, শালীনতার সাথে, সাহসের সাথে - রাজনীতি করতে পারব। সুতরাং, যারা আশা করছেন এ ঘটনা আমার গতি মন্থর করে দেবে তাদের বলছি– না, আমি পিছপা হব না। না, আমি লুকাব না। না, আমি আপনাদের ফাঁদে পা দেব না।

‘বরং, এই অবস্থান আমার সংকল্পকে আরও দৃঢ় করেছে। কারণ যখন মিথ্যাই অবশিষ্ট থাকে, এর মানে হলো আপনার সত্য ইতোমধ্যে যুক্তিতে জিতেছে। তাদের কথা বলতে দিন। আমি কাজ চালিয়ে যাব।’

এইচআর