শনিবার (২১ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের পশ্চিম পরান গ্রাম থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শামীম পশ্চিম পরান গ্রামের মোন্তাজ আলীর ছেলে।
স্বজনরা জানায়, আবু সাঈদ শামীম রাতে তার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন শনিবার সকাল ১০টার দিকে জেগে না ওঠায় তাকে ডাকাডাকি করা হয়। এতে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় দরজা খুলে ঘরে ঢোকেন। এসময় ঘরের আড়ার সঙ্গে রশি গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পান। পরে তারা পুলিশে খবর দেন।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় তিন বছর আগে শামীম বিয়ে করেন উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের ঝিনিয়া সাহাপাড়া গ্রামে। তার শ্বশুরের নাম আজাদ হোসেন। স্ত্রী আরজিনা বেগমের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই বনিবনাত ছিল না। কলহ লেগেই ছিল তাদের দাম্পত্য জীবনে। প্রায় ছয় মাস আগে স্ত্রী তার বাবার বাড়ি চলে গেছেন। আর ফিরে আসেননি। সে কারণে শামীম মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং হতাশায় ভুগছিলেন।
সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম রেজার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের স্বজনদের কোনো অভিযোগ ছিল না। সে কারণে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে বিষয় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
এমএম