মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যদি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও অপরাধী ইহুদি শাসকগোষ্ঠীকে ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর শক্তিশালী প্রতিশোধের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইরানের ওপর আগ্রাসনের জবাবে আমাদের বাহিনী দোহার আল-উদেইদ ঘাঁটি এবং অধিকৃত ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে এরই মধ্যে তাদের একটা শিক্ষা দিয়েছে। এখন তাদের উচিত সেই শিক্ষা থেকে কিছু শেখা।
ইসরায়েলের সমালোচনা করে জেনারেল বলেন, হতাশাগ্রস্ত জায়নিস্ট শাসকগোষ্ঠী মিথ্যা বলায় পারদর্শী। তারা আজ সকাল থেকেই ড্রোন দিয়ে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে এবং কিছু অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে।
তিনি জানান, ইরানের সশস্ত্র বাহিনী পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে এবং শত্রুর যে কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জবাব দিতে সক্ষম।
এর আগে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) জানায়, যুদ্ধবিরতির পরেও তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং আঙুল থাকবে ট্রিগারে, যাতে যুদ্ধবিরতির কোনো লঙ্ঘন হলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানো যায়।
এক বিবৃতিতে আইআরজিসি আরও জানায়, মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলি হামলার জবাবে তারা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং ইসরায়েলকে একটি ‘ঐতিহাসিক শিক্ষা’ দিয়েছে।
ইরান জানিয়েছে, শান্তি চুক্তি কার্যকর থাকলেও শত্রুর প্রতিটি পদক্ষেপ তারা নজরদারিতে রাখছে এবং প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
ইরান দাবি করেছে, ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত তাদের দেশে ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৩টি শিশু রয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৩ হাজারের বেশি। অন্যদিকে ইরানি হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৮ জন।
সূত্র : মেহের নিউজ, আলজাজিরা
এনএইচ