অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণঅভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছেন তারাই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। পৃথিবীর খুব কম সংগ্রামেই তরুণদের এমন আত্মত্যাগ দেখা যায়। শেখ হাসিনার বীভৎসতা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই ফ্যাসিজমের যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়।
চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর ধানমন্ডি মাঠে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয় বর্ষপূতি পালন কমিটির সদস্য সচিব ও বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনার শাসনামলকে ভয়াবহ আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, আজকে চৌধুরী আলম, সাজেদুল হক সুমন, ইলিয়াস আলী এরা কোথায়? তাদেরকে তো শেখ হাসিনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা তুলে নিয়ে গেছে। সুতরাং তাদের ঠিকানা তো শেখ হাসিনার জানার কথা। তার শাসনামল তো ছিল নৈরাজ্যকর ও ভয়াবহ। অনেকেই তুলে নিয়ে আয়না ঘরে প্রথমেই বেদম মারপিট করা হয়েছে। অতিসম্প্রতি গুম কমিশনের দ্বিতীয় রিপোর্ট যেটি জমা দেওয়া হয়েছে তাতে যে তথ্য উল্লেখ আছে তা যদি পড়ি তাহলে আমাদের রক্ত হিম হয়ে যায়, লোম খাড়া হয়ে যায়। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে।
এমএম