ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের শেষ দিকে নেতানিয়াহু লিকুদ পার্টির নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর থেকে প্রায় তিন বছরে পশ্চিম তীরে ইহুদি আবাসন প্রকল্পের সংখ্যা ১২৮টি থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৮টিতে। অর্থাৎ এই সময়ে বসতি স্থাপনের হার প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন স্বীকৃত ৫০টি বসতির মধ্যে ১৯টি ইতোমধ্যেই বিদ্যমান ছিল, ৭টি চারণভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল, ১৪টি বিভিন্ন মহল্লা এবং ১০টি এখনো কেবল কাগজে–কলমে অনুমোদিত।
কেবল নতুন বসতি নয়, পশ্চিম তীরে বিদ্যমান বসতিগুলোতেও অভাবনীয় গতিতে ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চ্যানেল ১২ জানায়, গত আড়াই বছরে নেতানিয়াহুর সরকারের সময় ৪১ হাজার ৭০৯টি নতুন অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সংখ্যা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ছয় বছরে অনুমোদিত অ্যাপার্টমেন্টের তুলনায় রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের স্পিকার আমির ওহানাসহ লিকুদ পার্টির ১৪ জন মন্ত্রী নেতানিয়াহুর কাছে চিঠি দিয়ে পশ্চিম তীরের দখলকৃত এলাকা আরও সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের কট্টরপন্থি নেতা মেইর দিউৎশ চ্যানেল ১২ কে বলেন, এর আগে কোনো ইসরায়েলি সরকার পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকে এতটা উৎসাহিত করেনি।
চ্যানেল ১২–এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পশ্চিম তীরে ডজন ডজন নতুন বসতির ঘোষণা, দ্রুতগতির অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, কৌশলগত সড়ক সম্প্রসারণ এবং ফিলিস্তিনি ভবন ভাঙার লক্ষ্য মূলত পুরো পশ্চিম তীরে ইহুদি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রস্তাবকে কার্যত নস্যাৎ করা।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
