শুক্রবার (৫ জুলাই) দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
আসিফ নজরুল বলেন, গ্রেপ্তার বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যে তিনজন ইতোমধ্যে দেশে ফেরত এসেছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরপরও এই অভিযোগে আটক হয়ে যারা ফেরত আসবেন, সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
গত ২৭ জুন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল উগ্র জঙ্গি আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের পরিকল্পনা অনুযায়ী সেলাঙ্গর ও জোহর অঞ্চলে গত ২৪ এপ্রিল থেকে তিন ধাপে এ অভিযান চালানো হয়। গ্রেপ্তার ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচজনকে মালয়েশিয়ার দণ্ডবিধির ৬এ অনুচ্ছেদের আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ–সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য এ আইন প্রযোজ্য। গ্রেপ্তার পাঁচজনকে শাহ আলম ও জোহর বাহরুর দায়রা আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার বাকি ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জনকে মালয়েশিয়া থেকে বহিষ্কারের আদেশ জারি করা হয়েছে। অন্য ১৬ জনের বিরুদ্ধে জঙ্গি–সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের আরও তদন্ত চলছে।
এদিকে, শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল জানিয়েছেন, আটককৃতরা বাংলাদেশ ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট বা আইএস সদস্যদের অর্থায়ন করতেন।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিয়ে গড়ে ওঠা ইসলামিক স্টেটের একটি নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মালয়েশিয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক।
এনএইচ