বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন । এ সময় উপদেষ্টা মন্তব্য করেন, নারী ও শিশু নির্যাতন মহামারির মতো অবস্থায় রয়েছে।

একজন ধর্ষিতা নারীকে ঘরে-বাইরে বঞ্চনা-যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। শুধু তাই নয়, ডাক্তারি পরীক্ষা থেকে শুরু করে আদালতে বিচার পর্যন্ত দফায় দফায় তাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় তার ধর্ষণের কথা। এমনকি আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে তাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। এখনও আমাদের সমাজে ধর্ষিত একজন নারীর দিকেই আঙুল তোলা হয়। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর এসে এখন পরিস্থিতি বদলায়নি।

কেন এই পরিস্থিতি? জানতে চাইলে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরিন হক বলেন, “আমরা এখনও সভ্য হতে পারেনি।”

একাত্তরের বীরাঙ্গনাদের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “তাদের কি আমরা যথাযথ সম্মান দিতে পেয়েছি? স্বাধীনতার পর সমাজকল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে কামারুজ্জামান সাহেব তাদের বীরাঙ্গনা খেতাব দিয়েছিলেন। শুধু এইটুকুই। তাদের আমরা পরিবার তো দূরের কথা, সমাজেও ঠাই দেয়নি। তারই ধারাবাহিকতা চলছে। পরিস্থিতি উত্তরণে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে, আমাদের সভ্য হতে হবে।”

সর্বশেষ কুমিল্লার মুরাদনগরে এক নারীকে (২৫) ঘরের দরজা ভেঙে ধর্ষণ করা হয়। সেখানে যারা উপস্থিত হন তারা নারীকেই অভিযুক্ত করে মারধোর করেন। এমনকি ওই নারীর বিবস্ত্র ছবি তুলে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। অথচ যিনি ধর্ষণ করলেন তার ভিডিও কেউ করলেন না। যদিও এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মিডিয়ার কারণে ওই নারী বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাতস্থানে চলে গেছেন। তার আগে তিনি মামলা প্রত্যাহারের কথা বলেছিলেন। যদিও সর্বশেষ মামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।

৯ দিনে ধর্ষণের শিকার ২৪ জন

উপদেষ্টা বলেন, “দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিষয়টি মহামারির মতো অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এটা চলছে। এর কারণ রাজনীতি, মাদক, মোবাইল ও পর্নোগ্রাফি। এগুলো বন্ধে নতুন আইন করার চিন্তা আছে সরকারের। ২০ থেকে ২৯ জুনের তথ্য অনুযায়ী ২৪ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। একজন ৬০ বছরের বৃদ্ধ একজন শিশুকে ধর্ষণ করেছে। আমরা তো ধর্মভীরু, ধর্মবিরোধী না, এটা কীভাবে সম্ভব?”

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, “এমন অবস্থা যে, আমি এখন এদের মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে। যদিও আমি মানবাধিকার কর্মী। দেশের মাদ্রাসাগুলোতেও শিশুদের যৌন নির্যাতন করা হচ্ছে। মাদ্রাসাগুলো চোখের আড়ালে থাকে। তথ্য পাই না। সেখানে অনেক শিশুরা নানাভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।”

নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ে ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৪৫টি নির্যাতনের অভিযোগ জমা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা নেই সব অভিযোগের সমাধান করা। তবে যেগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ তাৎক্ষণিক সেগুলোর সমাধান করা হয়। শতাধিক নারীকে কাউন্সেলিং, আইনি সহায়তার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

৬ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৪৬৬টি

অন্যদিকে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) দেওয়া জুন মাসের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে ৩৬৩ জন নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যা গত মাসের তুলনায় পাঁচটি কম। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৬৩টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৭টি, ধর্ষণ ও হত্যা ৪টি। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭ জন প্রতিবন্ধী কিশোরী ও নারী। গত মে মাসে দেশে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ৫৯টি।

চলতি মাসে ধর্ষণের শিকার ৬৩ জনের মধ্যে ১৯ শিশু ও ২৩ কিশোরী রয়েছে। অপরদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ২ শিশু, ৭ জন কিশোরী ও ৮ জন নারী এবং ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন ১ জন কিশোরী ও ৩ জন নারী। ধর্ষণের চেষ্টা ২৭টি, যৌন হয়রানি ৩৯টি, শারীরিক নির্যাতনের ৫১টি ঘটনা ঘটেছে।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) বলছে, নিপীড়নের ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়া, নারীর প্রতি আরেক দফা নির্যাতনের শামিল এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এটি অপরাধের শিকার নারীর সামাজিক ও মানসিক স্থিতিকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই শাস্তিযোগ্য অপরাধ সামাজিক সহিংসতাকে উৎসাহিত করে। নারীর প্রতি ক্রমবর্ধমান সহিংসতার ঘটনায় এমজেএফ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ বিষয়ে আরও সচেষ্ট আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কার্যকর আইনের যথাযথ প্রয়োগ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।

নারী নেত্রী খুশী কবির বলেন, “মানসিকতা না বদলালে ধর্ষণের ক্ষেত্রে এখন যে পরিস্থিতি তা থেকে বের হওয়া সম্ভব না। একেবারে কিছু যে হয়নি, তা নয়। গত ৪০ বছর ধরে আমরা আন্দোলন করছি, এতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। অনেকেরই মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। তবে বহু মানুষের মানসিকতায় এখনও পরিবর্তন হয়নি। আমাদের সমস্যা হয়েছে, সরকারের যখন যারা দায়িত্বে থাকেন তারা বিষয়গুলোকে সঠিকভাবে অ্যাড্রেস করেন না। যে ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয় শুধু সে ঘটনাগুলোরই বিচার হচ্ছে। অন্য মামলাগুলোর মধ্যে বিচারের ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেকেই বিচার পাচ্ছেন না।”

সাম্প্রতিক কিছু ধর্ষণের ঘটনা

ভোলার তজুমদ্দিনে গত সোমবার স্বামীকে রাতভর নির্যাতনের পর স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে স্থানীয় শ্রমিকদল, যুবদল ও কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীসহ সাতজনকে করে একটি মামলা হয়। এর মধ্যে আলাউদ্দিন ও ফরিদ উদ্দিন নামে দুই আসামিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গাজীপুরের শ্রীপুরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণ করেছেন একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফ মিয়া। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। শিক্ষক আরিফ মিয়া ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগ, শিক্ষক আরিফ মিয়া মাদ্রাসায় বই আনার কথা বলে তাদের মেয়েকে তার পরিচালিত মাদ্রাসায় ডেকে নেন। সেখানে একটি কক্ষের দরজা বন্ধ করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের আগে তিনি মেয়েটির একটি অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে এই ভিডিও এবং বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে আলাদা দিনে ও সময়ে আরও একবার মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষক ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।”

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে শাহাদাৎ হোসেন ওরফে বুলবুল (২০) নামে এক বখাটে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ২৫ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার পথে রাজশাহী জেলার চারঘাট থানাধীন মেরামতপুর গ্রামস্থ মেরামতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার ওপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সিএনজি-তে করে আসামি বুলবুলের ভাড়া বাসা রাজশাহীর টিকাপাড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। পরে বুলবুলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন আইনুল হক (২৮) নামে পুলিশের এক কনস্টেবল। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গত সোমবার রাতে এক তরুণী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলাটি করেন। গ্রেপ্তার আইনুল হক (২৮) ধর্মপাশা থানায় কর্মরত। তার বাড়ি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ইসলামপুর দুভাগ গ্রামে।

ভুক্তভোগী তরুণী নেত্রকোনার একটি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। তরুণী জানিয়েছেন, প্রায় এক বছর আগে তরুণীর সঙ্গে কনস্টেবল আইনুল হকের পরিচয় হয়। এরপর দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাঝে মধ্যে তারা দেখা করতেন। গত ২৬ জুন তরুণী ধর্মপাশা উপজেলার মহদীপুর স্পিডবোট ঘাটে যান। সেখান থেকে তাকে সুনামগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান আইনুল। হোটেলে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে ভুয়া তথ্য দিয়ে কক্ষ ভাড়া নেন। পরদিন দুপুর পর্যন্ত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আইনুল। ২৮ জুন পরীক্ষা শেষে তরুণী বিয়ের কথা বললে আইনুল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ২৯ জুন রাতে তরুণী ধর্মপাশা থানায় গিয়ে মামলা করেন।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, “ভুক্তভোগী তরুণী বিষয়টি জানানোর পর কনস্টেবল আইনুল হককে আমরা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছি। ওই তরুণী বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা রুজু করেছেন। এখন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সামলা আলী বলেন, “একজন নারী যখন ধর্ষণের মুখোমুখি হন, এরপর কিন্তু তাকে আরও কয়েকবার ধর্ষণের মুখে পড়তে হয়। একবার মেডিকেল পরীক্ষায় গিয়ে। আরেকবার বিচারে গিয়ে। এছাড়া ধর্ষণের পর পরিবার-স্বজনসহ বহু মানুষের কাছে তাকে সেই ঘটনার বর্ণনা করতে হয়। ফলে ওই নারী পদে পদে ধর্ষণের মুখোমুখি হন। আইনগুলো বদলে এখন যথেষ্ট যুগোপযোগী আইন করা হয়েছে। কিন্তু এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে শৈথিল্য আছে। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকার-রাষ্ট্রকে আরও আন্তরিকতার পরিচয় দিতে হবে।”

ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই ধর্ষণ মামলার বিচার

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, আদালত চাইলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই ধর্ষণ মামলার বিচার করতে পারবে। গত সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “নতুন সংশোধনী অনুযায়ী আমি আগেই বলেছিলাম বিচার ও তদন্তের সময় কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাপারে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদ। শুধু শিশু ধর্ষণ মামলার আলাদাভাবে বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া আমরা ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে কিছু ডেফিনিশন এনেছি। শুধু পুরুষ কর্তৃক না যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য করা হচ্ছে। যেকোনো ফর্মে ধর্ষণকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।”

আইন উপদেষ্টা বলেন, “তৃতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হচ্ছে সেটা হচ্ছে ডিএনএ রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় অনেক মামলা বছরের পর বছর ঝুলে থাকত। আমরা এই আইনে বিধান করেছি ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই আদালত যদি মনে করে মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে আদালত ডিএনএ সার্টিফিকেট ছাড়াই মামলা দ্রুত বিচার করবে। এছাড়া আমরা ভিকটিমদের প্রটেকশনের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করেছি। ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করেছি এবং ধর্ষণকালে জখমের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছি।”

আগের আইনে ১৮০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার বিচারকাজ শেষ করার বিধান ছিল। সেটি কমিয়ে ৯০ দিন করা হয়েছে। আর ১৫ দিনের তদন্ত কাজ শেষ করার বিধানও করেছে সরকার।