চলতি ফেব্রুয়ারিতে মাত্র ২৩ দিনেই বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা ২০৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। রেমিটেন্সের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে পোশাক খাতেও রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় দশগুন। যা দেশের অর্থনীতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের পর বাংলাদেশের প্রতি বর্হিবিশ্বের অবস্থান এবং দৃঢ় সমর্থনের কারণেই অর্থনীতিকে আগের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ( ইপিই), বিজিএমইএ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব জানা যায়।
ইপিই এবং বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশে পোশাক রপ্তানি পরিমাণ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ নতুন বাজারে রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি। মাসভিত্তিক হিসাবে গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মাস ফেব্রুয়ারির ২৩ দিনে ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বা ২০৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে দেশে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার ৩২৭ কোটি টাকার বেশি। এভাবে রেমিটেন্স আসা অব্যাহত থাকলে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতির অন্যতম এ খাতটি। এ নিয়ে অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্ট থেকে টানা সাত মাস দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে রেমিটেন্স।
এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিটেন্স এসেছে। আগস্টে আসে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে রেকর্ড ২৬৪ কোটি ডলার এবং জানুয়ারিতে রেমিটেন্স আসে ২১৯ কোটি ডলার। গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বো”চ ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ২৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স আসে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৩১ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকার বেশি। একক মাস হিসাবে আগে কখনোই এতো পরিমাণ রেমিটেন্স আসেনি। এর আগে করোনাকালীন ২০২০ সালের জুলাই ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙলো ২০২৪ সালের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে রেমিটেন্স এসেছে প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার বেশি। গত বছরের (২০২৩ সালের) ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০২৪ সালের জুলাই মাস ছাড়া বাকি ১১ মাসই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে।
এদিকে, রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়ের ওপর ভর করে বাড়ছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ। বর্তমানে রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২১ বিলিয়ন (২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন) ডলারে অবস্থানে দাড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ এখন ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৮৫ কোটি ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে ২৬ দশমিক ১১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৬১১ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
পোশাক রপ্তানি খাতে চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রথম ছয়মাস জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের ১ হাজার ৯৮৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা গত সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধে মোট রপ্তানি হয়েছিলো ১ হাজার ৭৫৬ কোটি ডলারের তৈরী পোশাক।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ( ইপিই) পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি হওয়া তৈরি মোট পোশাকের অর্ধেকের গন্তব্য ছিলো ইইউ। বড় এই বাজারে রপ্তানি হয়েছে ৯৮৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। যা বর্তমান বাজারে গত অর্থ বছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি।
ইইউর দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স ইতালি ও ডেনমার্কে ৫০ কোটি ডলারের বেশি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে ইতাািল ও ডেরমার্ক ছাড়া বাকি দেশগুলোতে রপ্তানি বেড়েছে ১০ শতাংশেরও বেশি।
বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে জার্মানিতে ২৪৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয় যা গত অর্থ বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া স্পেনে ১৭০ কোটি, ফ্রান্সে ১০৯ কোটি, নেদারল্যান্ড ১০৬, পোল্যান্ড ৭৯, ইতালি ৭৭ ও ডেনমার্কে ৫৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা এই দেশের মধ্যে পোল্যান্ড-এ তৈরী পোশাক রপ্তানি বেড়েছে সরে¦া”ছ ২৮শতাংশ আর সর্বনিম্ন স্পেনে ৩ শতাংশের কাছাকাছি। যা একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে সে দেশে ৩৮৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা গত অর্থ বছরের একই সময়ের ১৭ দশমিক ৫৫ শতাংশের বেশি বাংলাদেশের মোট পোশাক রপ্তানির ১৯২০ শতাংশের গন্তব্য।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে পণ্য আমাদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় চীনের বাজার নিয়ে নতুন করে সম্ভাবনা দেখছেন তৈরী পোশাকের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, চীনা পণ্যের অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এতে চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয়াদেশ সরাবে। ফলে বাড়তি ক্রয়াদেশ বা অর্ডার পাওয়ার নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরী হবে বলে আশা উদ্যোগক্তাদের।
বহিবিশ্বে দেশের বাণিজ্যি ও বিনিয়োগ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সেন্টার ফর পলিসির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবোপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য প্রতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রের গুণগতমান ভালো থাকা খুবই জুরুরি। কিš‘ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বেলায় লক্ষণীয় নয়। সে সমস্যাগুলোর সংস্কার করতে পারলে বাংলাদেশও বর্হিবিশ্বের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
ড. দেবোপ্রিয় অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববাণিজ্যে সংস্থা (ডব্লিউটিও) অনেকটা পক্ষাঘাতগ্রস্তদের মতো হয়ে গেছে। তারপরও কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ায়র পর চীন ডব্লিউটিতেই রয়ে গেছে। যা উপ আঞ্চলিক বাণিজ্য খুবই গরুত্বপূর্ণ কাজ করবে।
তিনি বলেন আরও বলেন, বাণিজ্য নিয়ে সুদুর প্রসারী এবং বাস্তবধর্মী দৃষ্টিভঙ্গি থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ড. শান্তায়ানান দেবরাজন বলেন. দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর উচিত নিজেদের মধ্যে এবং বহিবিশ্বের বাণিজ্য বাড়ানোর এ জন্য উদারীকরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক কৌশল বাড়ানো। তবে শুধু বাংলদেশ নয় প্রতিবেশি সকল দেশগুলোর বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়ন হবে। ড. দীপক মিশ্র বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অর্থনৈতিক সর্ম্পক রাজনৈতিক সম্পর্কের অংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এর প্রভাব বেশি। অথচ পূর্র এশিয়ার দেশলোকে এটি পাওয়া যায়না। ফলে সে দেশগুলো বৈদেশিক আয়ের দিকে এগিয়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, পৃথিবীর উন্নত-অনুন্নত রাষ্ট্রের প্রধান অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি প্রবাসীদের উপার্জিত আয় রেমিটেন্স। ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত যে, বাংলাদেশের মানুষ খুবই পরিশ্রমী। কিš‘ ভাষাগত জটিলতা ও কারিগরি শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে। প্রবাসীদের সমস্যার সমাধান, দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি এবং হুন্ডি ব্যবসা প্রতিরোধ করা গেলে রেমিটেন্সেই বদলে দেবে বাংলাদেশ।
প্রবাসীরা বিশ্বে দক্ষ জনশক্তির ৩.৪ শতাংশ অভিবাসী। তাদের উপার্জিত অর্থ সমগ্র বিশ্বের জিডিপিতে ৯.৪ শতাংশ অবদান রাখছে। ১২৫টি দেশের শ্রমিকেরা ৪০টির মতো উন্নত রাষ্ট্রে শ্রমের বিনিময়ে রেমিট্যান্স পাঠায়। ভারত ২০০৮ সাল থেকে রেমিটেন্স উপার্জনে প্রথম। ভারতীয়রা ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষা ও কারিগরি শিক্ষায় অনেক এগিয়ে। তারা জিডিপিতে ২.৯ শতাংশ অবদান রাখছেন।
প্রবাসীরা বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। তাদের শ্রম, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথ প্রদর্শক। রেমিটেন্স এ দেশের আর্থসামাজিক বিকাশে অনুঘটক। দেশের জিডিপিতে প্রবাসীদের অর্জিত রেমিটেন্সের অবদান ৬ শতাংশের বেশি। ২০০৮ সালে বিশ্বমন্দা ও করোনাকালীন বাংলাদেশকে সংকটমুক্ত রাখতে রেমিটেন্সের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক দেশের আদর্শ বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষায় মূল চালিকাশক্তি রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়। রপ্তানি আয় যখন কমে যায়, তখন রেমিটেন্স তা পূরণ করে দেয়।
যদিও প্রবাসীদের সংখ্যা নিয়ে বিএমইটির মতে অনেক গরমিল দেখা যা”েছ। তাদের মতে, প্রবাসী ১ কোটি ৪৮ লাখ, বিবিএস খানা জরিপে (২০২২) ৫৫ লাখ ৫৩ হাজার।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, প্রবাসীর সংখ্যা ২ কোটিরও বেশি। ১৯৭০ সালে এই ভূখণ্ডের প্রবাসী সংখ্যা ছিল ৮৪ মিলিয়ন। ২০২২-২৩ সালে ছিল ২৩ লাখ ৫০ হাজার। ২০০৮-২২ সাল পর্যন্ত ৮০ লাখেরও বেশি লোক মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ-আমেরিকা গেছে। কর্মসংস্থান ও জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের মতে, প্রতি বছর ৮ লাখ লোক শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। গত বছরে ৬০ লাখ দক্ষ জনশক্তি বিদেশে পাঠানো হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি।
এদিকে বিশ্বে প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়। চলতি বছর প্রবাসে যাওয়া ৩ লাখ ৮ হাজার কর্মীর মধ্যে নার্স, চিকিৎসক, আইটি বিশেষজ্ঞ ছিলেন ৫০ হাজার ১৫৮ জন। ২০২৩ সালে ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, পাইপ ফিটিং, পেইন্টার, জিপসন, হোটেল শ্রমিকসহ গেছেন ৩ হাজার ৬৪০ জন। রেমিটেন্স প্রাপ্তিতে শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে ছয়টি দেশই মধ্যপ্রাচ্যের। সৌদি আরব, আরব আমিরাত থেকে রেমিটেন্স আসে বেশি। ওমান, কুয়েত, জর্ডান, কাতার, বাহরাইনও আছে উল্লেখ্যযোগ্য অবস্থানে । রেমিটেন্স পাঠানোয় ঢাকা প্রথম, চট্টগ্রাম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে সিলেট বিভাগ। সিলেট বিভাগের রেমিটেন্স ব্যয় হয় ভোগবিলাস ও বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি বছর প্রবাসী আয় হবে, ৮৬ হাজার কোটি টাকা। গত ১৯ এপ্রিল ইতালির মনকালকোন শহরের জাহাজ নির্মাণশ্রমিকেরা ২৯০ কোটি টাকা পাঠিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। গত এপ্রিলে ‘মাত্র পাঁচ দিনে এলো প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা রেমিট্যান্স’। ২০১৬-২০২২ সালে বাংলাদেশের রেমিটেন্স আসে ১২ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মতে, তাঁদের কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করলে নতুন করে যাঁরা বিদেশে যেতে আগ্রহ বাড়বে। সে জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগের পাশাপাশি প্রশাসনিক জটিলতা দূর করার মাধ্যমে সংস্কার নিশ্চত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক উদ্যোগে সš‘ষ্ট হয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক টাইম নিউজকে জানান, বিদেশে ফেরত যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে অতিরিক্ত বিমান ফ্লাইটের ব্যবস্থাসহ কিছু ক্ষেত্রে ভিসা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তাঁদের জন্য নির্ভরযোগ্য এবং সুলভ মূল্যে কোভিড টেস্টের ব্যবস্থা থাকাও দরকার। একই সঙ্গে তাঁদের টিকা প্রদানের উদ্যোগ নেওয়াও প্রয়োজন। কারণ দক্ষিণ কোরিয়ায় অলরেডী তাদের কোভিড পরীক্ষায় পজেটিভ পেয়ে সে দেশে লোক নেয়া বন্ধ রেখেছিলো। যা বাংলাদেমের রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে নীতিবাচক প্রভাব ফেলে।
এমএম