এ উপলক্ষে গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) নানা আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেন নবাব পরিবারের বংশধর ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক নাঈম।
নাঈম জানালেন, তার উত্থাপন করা দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেশ ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে নাঈম বলেন, ‘৭ জুন ছিল নবাব স্যার সলিমুল্লাহ বাহাদুরের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ১৫৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে। নবাব সলিমুল্লাহর বংশধরের পক্ষ থেকে আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম এবং তার অবদানের স্বীকৃতির জন্য কিছু দাবি পেশ করি। এই দাবিগুলো শুধু আমাদের নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরও; যা কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন। এতো সুন্দর আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং হলের ছাত্র-ছাত্রীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’
নাঈম যে দাবিগুলো উত্থাপন করেন, তার মূল বিষয় ছিল—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের উচ্চশিক্ষা ও মুসলিম সমাজের উন্নয়নে নবাব সলিমুল্লাহর অবদানকে যথাযথভাবে স্মরণ ও স্বীকৃতি দেওয়া।
হলের সকল ছাত্রছাত্রী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতাও জানান চিত্রনায়ক নাঈম।
প্রসঙ্গত, নবাব স্যার সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯২০ সালে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট পাশ হওয়ার ক্ষেত্রেও তিনি বিশেষ অবদান রাখেন।
এইচআর